ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

দেশের সেরা বিজ্ঞাপনী প্রচারণাগুলোকে পুরস্কৃত করা হলো ১৩তম কমওয়ার্ডে

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৪
দেশের সেরা বিজ্ঞাপনী প্রচারণাগুলোকে পুরস্কৃত করা হলো ১৩তম কমওয়ার্ডে

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটির ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ কমওয়ার্ড: এক্সিলেন্স ইন ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশনের ১৩তম সংস্করণের।  

রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে একটি জাঁকালো গালা আয়োজনের মাধ্যমে ১৪৬টি বিজ্ঞাপনী প্রচারণাকে ২৬টি ক্যাটেগরিতে এ সম্মাননা দেওয়া দেওয়া হয়।

কমিউনিকেশনস এবং মার্কেটিং খাতে কর্মরত এবং অভিজ্ঞ প্রায় ৭০০ জনেরও অধিক অতিথির উপস্থিতিতে ব্রোঞ্জ, সিলভার, গোল্ড এবং গ্র্যান্ড প্রিক্স এই চার বিভাগে সেরা বিজ্ঞাপনগুলোকে সম্মানিত করা হয়।

এই বছর কমওয়ার্ডের জন্য ৭৯টি ক্রিয়েটিভ এজেন্সি থেকে ১৩৮০টি মনোনয়ন জমা পড়ে। ২০২৩ সালের ১ জুন হতে ২০২৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত সময়কালে উন্মোচিত এবং প্রচারিত ক্যাম্পেইনগুলো নমিনেশনের জন্য বিবেচিত হয়। ২৪টি অভিজ্ঞ জুরি প্যানেল প্রাথমিকভাবে ১৪টি শর্টলিস্টিং জুরি এবং পরবর্তীতে ১০টি গ্র্যান্ড জুরিতে বিভক্ত হয়ে বাছাই প্রক্রিয়া পরিচালনা করেন। বিজয়ী ক্যাম্পেইনগুলোর যথাযথ অবস্থান নিশ্চিত করতে ১০ জন জুরি সভাপতি অধিকতর যাচাই প্রক্রিয়া অবলম্বন করেন।

১৩তম কমওয়ার্ডে ২১টি গোল্ডেন, ৫০টি সিলভার এবং ৭৫টি ব্রোঞ্জ সম্মাননা দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর কোনো গ্র্যান্ড প্রিক্স পদক দেওয়া হয়নি।

উল্লেখযোগ্য বিজয়ীদের মধ্যে ব্যাকপেইজ পিআর ‘সিঙ্গার বাংলাদেশের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বুরাক ঔজচিভিত জন্য পিআর ক্যাটাগরিতে সেরার পুরস্কার জিতেছেন।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এই বছর কমওয়ার্ড আমাদের সৃজনশীল যোগাযোগ শিল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রমাণ, এমনকি চ্যালেঞ্জ এবং বাধার মুখেও। প্রতিনিয়ত বিকশিত হচ্ছে এমন একটি পৃথিবীতে আমাদের শিল্পটি অসাধারণ সৃজনশীলতা দেখিয়েছে এটি প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের সৃজনশীল বিজ্ঞাপনী প্রচারণা শুধু এগিয়ে যাচ্ছে না, বরং নেতৃত্ব দিচ্ছে।

কমওয়ার্ডের সহযোগিতায় দ্বিতীয়বারের মতো বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান, এফসিবি বিটপি, এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনী শিল্পের অন্যতম অগ্রদূত, রেজা আলীর সম্মানে ‘রেজা আলী ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট অ্যাওয়ার্ড সম্মাননাটি দেওয়া হয়। মূলত, স্বাধীন এবং সৃজনশীল প্রচারণাকে উদযাপন করার লক্ষ্যেই এই সম্মাননাটি দেওয়া হয়।

এবারের গালা আয়োজনে বাংলাদেশে বিজ্ঞাপনী শিল্পের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং অ্যাডকম লিমিটেডের ফাউন্ডার অ্যান্ড চেয়ারম্যান গীতিয়ারা সাফিয়া চৌধুরীকে বাংলাদেশের সৃজনশীল শিল্পে অবস্মরণীয় অবদান রাখার জন্য আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।

১৩তম কমওয়ার্ডের আগে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের উদ্যোগে ‘ডিজরাপ্টিং দ্য নর্ম: ফিউচার অব ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং’ থিমকে কেন্দ্র করে ১৩তম কমিউনিকেশন সামিট অনুষ্ঠিত হয়।  

দেশ ও বিদেশের বিশেষজ্ঞ ও ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশন শিল্পে কর্মরত শীর্ষস্থানীয় পেশাজীবী, নীতিনির্ধারক এবং ব্যবসায়িক নেতাদের উপস্থিতিতে উদ্ভাবনী ধারণার মাধ্যমে কীভাবে ভবিষ্যতের ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং-এর সুযোগগুলোকে কাজে লাগানো যায়, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

দুটি কি-নোট সেশন, একটি লিডারস ডায়লগ, চারটি প্যানেল ডিসকাশন ও দুটি ইনসাইট সেশন নিয়ে সাজানো সামিটে বারবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে সৃজনশীল ধারণার বিস্তৃতি, ব্র্যান্ডিংয়ের স্বচ্ছতা, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি।

কমিউনিকেশন সামিট ২০২৪ এ কি-নোট বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফিরদৌস ইউসুফ, হেড অব ক্রিয়েটিভ, ফরসম্যান এবং বোডেনফর্স সিঙ্গাপুর এবং মইজ খান, ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর এডেলম্যান।

সামিটের অন্যতম আকর্ষন লিডারস ডায়লগে বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনী শিল্পের এযাবৎ কালের যাত্রা নিয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতার আলোকে কথা বলেন, গীতিয়ারা সাফিয়া চৌধুরী, ফাউন্ডার অ্যান্ড চেয়ারম্যান, অ্যাডকম লিমিটেড এবং মুনির আহমেদ খান ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও ক্রিয়েটিভ চিফ, ইউনিট্রেন্ড লিমিটেড।

সেশনটি পরিচালনা করেন আশরাফ বিন তাজ, জেনারেল সেক্রেটারি, এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশন (এএমএফ); কো ফাউন্ডার অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর, আইডিসি বাংলাদেশ পিএলসি।

পরবর্তী প্যানেল ডিসকাশনগুলোতে আলোচিত হয় সময়োপযোগী বিভিন্ন বিষয় যেমন, সংকটকালে সৃজনশীলতা: অনিশ্চিত সময়ে ব্র্যান্ডগুলো কীভাবে কার্যকরীভাবে যোগাযোগ করতে পারে, উদ্দেশ্যভিত্তিক মার্কেটিং: কীভাবে সামাজিক পরিবর্তনের জন্য ব্র্যান্ড তৈরি করা যায় এবং ব্যবসায়িক মূল্য বাড়ানো যায় ইত্যাদি।

১৩তম কমিউনিকেশন সামিটে আরও উপস্থিত ছিলেন নাজিম ফারহান চৌধুরী, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, অ্যাডকম লিমিটেড; যেখানে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ফারহা নাজ জামান, মার্কেটিং ডিরেক্টর, গ্রামীণফোন লিমিটেড; অরূপ আই, এজেন্সি হেড অ্যান্ড চিফ ক্রিয়েটিভ স্ট্র্যাটেজিস্ট, মাইটি; সাইফুল আজম চৌধুরী মুকুল, এক্সিকিউটিভ ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, গ্রে অ্যাডভারটাইজিং বাংলাদেশ; শারজিল করিম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইন্টারস্পিড অ্যাডভারটাইজিং লিমিটেড এবং মো. শাদমান সাদিকীন, মার্কেটিং ডিরেক্টর হোম কেয়ার হেড, ডিজিটাল হাব, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড; দ্রাবির আলম, সিওও ও ডিরেক্টর, এক্স- ইন্টিগ্রেটেড মার্কেটিং এজেন্সি; জাকিয়া জেরিন, সিনিয়র ম্যানেজার, মার্কেটিং কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনজিউমার এনগেজমেন্ট, নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেড; সালাহউদ্দিন শাহেদ, সিইও, এফসিবি বিটোপিসহ অন্যরা।

কমিউনিকেশন সামিট ও কমওয়ার্ড ২০২৪- এর সহযোগিতায় ছিল মিনিসো বাংলাদেশ (শুধু সামিট)। স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার-বাংলাদেশ ক্রিয়েটিভ ফোরাম (বিসিএফ), ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভার্টাইজিং অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ, রোরিং লায়ন্স; নলেজ পার্টনার-মার্কেটিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ (এমএসবি); টেকনোলজি পার্টনার–আমরা টেকনোলজিস লিমিটেড; হসপিটালিটি পার্টনার – লা মেরিডিয়ান ঢাকা; পিআর পার্টনার–ব্যাকপেজ পিআর। কমিউনিকেশন সামিট ও কমওয়ার্ড বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের একটি উদ্যোগ।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৪
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।