ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

উপকূল থেকে উপকূল

উপকূল থেকে উপকূল

সরকারি হাসপাতালেই আস্থা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৬
সরকারি হাসপাতালেই আস্থা ছবি- বাংলানিউজটোয়েন্টিফাের

শ্যামনগর, সাতক্ষীরা থেকে: উপকূলীয় শহর শ্যামনগরে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। কিছুটা অার্থিক অবস্থাসম্পন্ন মানুষ সেগুলোতে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

তবে গরিব মানুষের অাস্থা সরকারি হাসপাতালেই। আর আস্থার জায়গায় ভালো সেবাটাও নিশ্চিত হয় বলে জানান তারা।

বংশীবাজারের বাসিন্দা রতন কুমার টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এখানে ৩০ টাকার টিকিট কেটেই ডাক্তার দেখালাম। ৩টি ওষুধ দিয়েছেন ডাক্তার। সবগুলো ওষুধও হাসপাতাল থেকে ফ্রি দেওয়া হয়েছে। এমনকি স্যালাইনও ফ্রি দেওয়া হয়েছে। এখানকার পুরুষ ওয়ার্ডেই ভর্তি রয়েছেন তিনি।

রোববার (২৬ জুন) দুপুরে গিয়েও হাসপাতালের বর্হিবিভাগে রোগীদের ভিড় ছিল লক্ষ্যনীয়। সহকারী সার্জন ডা. আনিছুর রহমান, ডা. গোপাল বিশ্বাস, মেডিকেল অফিসার ডা. মালিহা খাতুনের রুমের সামনে রোগীদের দীর্ঘ লাইন।

চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে দরিদ্র মানুষেরা সরকারি হাসপাতালের ওপরই ভরসা রাখেন বেশি। তবে রোগীর অধিকতর পরীক্ষার দরকার হলে সাতক্ষীরা জেলা হাসপাতাল বা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান তারা।

৫০ শয্যাবিশিষ্ঠ হাসপাতালটির ওয়ার্ডে রোগী প্রায় সম্পূর্ণ। তবে রমজানের কারণে রোগীর সংখ্যা কম। অন্য সময় হলে রোগীদের মেঝেতেও থাকতে হয়। কারণ এখানে কাউকে চিকিৎসা না দিয়ে ফেরানো হয়না বলে জানান চিকিৎসকরা।
 
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫ জন রোগী আসেন। বেশিরভাগই দুর্ঘটনা এবং পেটের অসুখে আক্রান্ত।
 
ব্রাকের সহযোগিতায় এখানকার ডট সেন্টারে যক্ষ্মার চিকিৎসা দেওয়া হয় বিনামূল্যে। মুক্ত আকাশ এখানে এইডসের পরীক্ষায় সহায়তা করে।

মুক্ত অাকাশের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সোলায়মান বাংলানিউজকে বলেন, সাধারণত বিদেশ থেকে ফেরত মানুষেরা পরীক্ষা করান। এসব তথ্য সম্পূর্ণ গোপণ রাখা হয়। এ উপজেলা বেশ সুরক্ষিত রয়েছে বলে জানান তিনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কনসালট্যান্ট আরিফুজ্জামান পলাশ এ হাসপাতালের মান পরীক্ষার কাজ করছেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মুন্সীগঞ্জ, গাবুরা, অাশাশুনির মতো উপজেলাগুলোতে এখন কমিউনিটি ক্লিনিকের ওপরই মানুষ বেশি নির্ভরশীল। এরপরও জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে উপজেলা সদরে আসছেন রোগীরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান খান বাংলানিউজকে বলেন, উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ডায়রিয়ার প্রবণতা বেশি। এ অঞ্চলে পানির সমস্যা রয়েছে। আর বর্ষায় রোগের প্রকোপ বাড়ে।

তিনি আরো জানান, এখানে পানির লবণাক্ততা বাড়ছে। পানির কারণে চর্ম রোগের প্রকোপও বেশি। অার মানুষ এ বিষয়ে সচেতন থাকে কম। ফলে চর্ম রোগ অনেক সময় বড় আকার ধারণ করে।

**ক্লিনিকের নাম ঝুলিয়েই ব্যবসা!

বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৬
এমএন/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।