ঢাকা: সারা দেশ থেকে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ দেখা গেছে। বাংলাদেশ থেকে পরবর্তী পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ২০১৮ সালের ২৭ জুলাই।
বুধবার বাংলাদেশ সময় আনুমানিক সন্ধ্যা ৫টা ৪৪ মিনিটে চাঁদ দিগন্তের উপরে ওঠার পর থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে প্রচ্ছায়া পর্যায় শেষ হয়।
কমলাপুরের বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে স্থাপিত অনুসন্ধিৎসু চক্রের ক্যাম্প থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি মো. শাহজাহান মৃধা বেনু জানান, ঢাকায় আংশিক মেঘ থাকা সত্ত্বেও সফলভাবে চন্দ্রগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা গেছে।
তিনি আরও জানান, ঢাকার ক্যাম্প ছাড়াও ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, রাজশাহী, চাঁদপুর, বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সফলভাবে চন্দ্রগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা হয়। ঢাকাসহ বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে সফলভাবে চন্দ্রগ্রহণের ছবি তোলা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জিলা স্কুল মাঠে স্থাপিত ক্যাম্পে প্রায় তিন শতাধিক দর্শক চন্দ্রগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করেছেন।
কুসংস্কার দূর করতে গ্রহণ চলাকালীন সময়ে অনুসন্ধিৎসু চক্রের সদস্যরা খাদ্য গ্রহণ করে সবাইকে জানান, ‘চন্দ্রগ্রহণের সময় খেলে কিছুই হয় না, এটা ভ্রান্ত ধারণা। ’
চন্দ্রগ্রহণ চলাকালীন সময়ে চাঁদকে অনেকটা তামাটে বা লালচে চাকতির মতো মনে হয়। এর কারণ- সূর্যের কিছু আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে বিচ্ছুরিত হয়ে চাঁদের ওপর পড়ে। অন্যান্য রং বিচ্ছুরিত হলেও লাল রং তুলনামূলকভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল দিয়ে প্রতিসরিত হয়ে চাঁদের ওপর পড়ায় গ্রহণের সময় চাঁদকে লাল দেখায়।
অনুসন্ধিৎসু চক্রের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. দীপেন ভট্টাচার্য যুক্তরাস্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করেছেন ও ছবি তুলেছেন।
আগ্রহীরা চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কিত তথ্য ও ছবির জন্য অনুসন্ধিৎসু চক্র, কেন্দ্রীয় দপ্তর ৪৮/১, দক্ষিণ মুগদাপাড়া, ঢাকা-১২১৪, ইমেইল: achokro@gmail.com, www.achokro.org, যোগাযোগ করতে পারেন।
** ছবিতে ‘ব্লাড মুন’
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৪