ঢাকা: পরিবেশ অধিদপ্তর সারা দেশে ২ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দূষণ রোধে অভিযান চালিয়েছে। এই সময়ে ১২৩টি মোবাইল কোর্টে ৩২৩টি মামলায় ৫ কোটি ৫৮ লাখ ৩৬ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
৭৬টি অবৈধ ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। ৩০টি ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা এবং ৭টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচটি কারখানার ছয় ট্রাক সিসা বা ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে জানানো হয়, নিষিদ্ধ পলিথিন রোধেও অভিযান চলছে।
নিষিদ্ধ পলিথিন রোধে গত বছরের ৩ নভেম্বর থেকে সারা দেশে ২৩৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। এতে ৪৮০টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। প্রায় ৭৫ হাজার ৮০২ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ এবং সাতটি কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। এতে ৯টি মামলায় ১৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তিনটি কারখানার বৈদ্যুতিক মিটার জব্দ, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং আনুমানিক ১০০ টন পলিথিনসহ কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। একই সময়ে দেশে প্রায় দুই হাজার পাঁচ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।
দিন সাতক্ষীরা, নীলফামারী, মাদারীপুর ও গাজীপুরে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে চারটি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এতে আটটি মামলায় ১৭ লাখ টাকা জরিমানা আদায় এবং ৪টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। এদিন ময়মনসিংহেও শব্দদূষণ রোধে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এতে এক যানবাহনের চালককে ৫০০ টাকা জরিমানা এবং অন্যান্য চালককে সতর্ক করা হয়।
পরিবেশ দূষণ রোধে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫
এসকে/আরএইচ