ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাজেট

বেহাল স্বাস্থ্যখাত দিয়ে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে পৌঁছানো কঠিন: ড. জাহিদ হোসেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২১
বেহাল স্বাস্থ্যখাত দিয়ে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে পৌঁছানো কঠিন: ড. জাহিদ হোসেন বেহাল স্বাস্থ্যখাত দিয়ে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে পৌঁছানো কঠিন: ড. জাহিদ হোসেন।

ঢাকা: কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হয়েছে। গত বাজেটে যা ধরা হয়েছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ।

বর্তমানে বেহাল স্বাস্থ্যখাত দিয়ে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন করা কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক লিড ইকোনোমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। বাজেট পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলানিউজের কাছে এসব অভিমত তুলে ধরেন ড. জাহিদ হোসেন।

ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বাজেটে সরকার যে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তা অর্জনের পূর্বশর্ত হচ্ছে স্বাস্থ্যখাত ঠিক করা। স্বাস্থ্যখাতকে ঠিক মতো কাজে না লাগাতে পারলে প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়। ঠিকাদান কর্মসূচী বাড়ানো ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা। কিন্তু আমরা কি দেখলাম করোনায় স্বাস্থ্যখাতের বেহালদশা। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও গাজীপুরের বাইরে দেশের কোথাও সেইভাবে করোনা সংকট মোকাবিলার হাসাপাতাল নেই। করোনায় স্বাস্থ্য অবকাঠামোর তেমন উন্নয়ন হয়নি সবই গতানুগতিক। স্বাস্থ্যের বেহাল অবস্থা, স্বাস্থ্যের কর্মী নিয়োগ এখনও ঝুঁলে আছে, স্বাস্থ্যখাতের অবকাঠামোর ঘাটতি। বিমানবন্দরে এখনো দিনের পর দিন স্বাস্থ্যখাতের  মালামাল পড়ে থাকে। এই  বেহাল স্বাস্থ্যখাত দিয়ে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে পৌঁছানো কঠিন।

তিনি আরো বলেন, প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ৭ হবে না ৬ হবে এটা বড় বিষয় নয়। অর্থনীতির চাকা সচল রাখায় বড় বিষয়। করোনার সমস্যা এখনো চলে যায়নি। ভ্যাকসিন না নেওয়া পর্যন্ত এটা যাবে না। অর্থনীতি সচল রাখায় বড় চ্যালেঞ্জ।

তিনি আরো বলেন, করোনার সময় কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতি বেশি অবদান রেখেছে। মানুষ শহর থেকে গ্রামে চলে গেছে। শহরে বাড়ি ভাড়া-বিদ্যুতসহ অন্যান্য বিল না মেটাতে পেরে মানুষ শেকড়ে ফিরেছে। এসব গ্রামীণ অর্থনীতি ও কৃষি সামাল দিয়েছে।

করোনা মোকাবেলায় ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ প্রসঙ্গে জাহিদ হোসেন বলেন, ১০ হাজার কোটি টাকা গত বাজেটেও রাখা হয়েছিল। ১০ হাজার কোটি টাকা কিভাবে ব্যয় হবে এটাই বড় বিষয়। সময় দ্রুত বছর ফুরিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। টাকা অলস ফেলে রেখে লাভ নেই।

মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য অর্জন প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড.জাহিদ বলেন, বাজেটে যে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরা হয়েছে তা অর্জনযোগ্য। আমরা দেখেছি করোনার পরে কিছু খাদ্যপণ্যের দাম উঠানামা করেছে। তারপরও বলতে পারি মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে থাকবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। এটা টার্গেটের  আশেপাশে থাকবে ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২১
এমআইএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।