নতুন রঙের প্রলেপ পড়েছে বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসেও। আর সব মিলিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশ ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এখন কাঠে পেরেক ঠোকার ঠক-ঠক শব্দে সময় যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলার শেষ সময়ের প্রস্তুতির।
আর মাত্র দু’দিন পরই শুরু হবে বাঙালি বইপ্রেমীদের প্রাণের মেলা। মাসব্যাপী বাংলা একাডেমি চত্বর ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ঘিরে চলবে লেখক, পাঠক ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা।
চলছে বইমেলার শেষ প্রস্তুতি, ছবি: ডিএইচ বাদল
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, বইমেলা নিয়ে প্রস্তুতি অনেকটাই শেষ করেছে কর্তৃপক্ষ। বাংলা একাডেমি ঘুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কাছে গেলে চোখে পড়ে বাঁশ, কাঠ আর বাহারি রঙের পাত্র। চলছে বইমেলার স্টল নির্মাণের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কাঠ কাটা, জোড়া দেওয়া, রংতুলির আঁচড় আর পেরেক-হাতুড়ির টুং টাং আওয়াজ উদ্যান জুড়ে। দুইদিনে শেষ করতে হবে বইমেলার অবকাঠামো। তাই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা।ইতোমধ্যে কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থা স্টল নির্মাণ প্রায় শেষ করলেও বেশির ভাগ স্টলেই চলছে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ। তবে স্টল নির্মাণে দায়িত্বরতরা আশা করছেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে।
বইমেলা নিয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বাংলানিউজকে বলেন, এবার পুরো গ্রন্থমেলাকে আনা হচ্ছে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমৈর (জিপিএস) আওতায়।
চলছে বইমেলার শেষ প্রস্তুতি, ছবি: ডিএইচ বাদল
তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবারের মেলার স্টলগুলো রাখা হচ্ছে নির্দিষ্ট দূরত্বে। মেলার দর্শনার্থীরা যেনো বই কেনার পাশাপশি এখানে একটু স্বস্তিতে বসতে পারে, একটু ঘোরাফেরা করতে পারে, সে ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।বাংলা একাডেমির তথ্য অনুযায়ী, গতবারের মতো এবারও মেলা বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর আর কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবে না। মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে দুই ক্যাটাগরিতে প্যাভিলিয়ন থাকবে ২৩টি। আর শিশু কর্নারে শিশু বিষয়ক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য থাকছে ৭৫টি ইউনিট।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
এইচএমএস/টিএ