ঢাকা, রবিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

বইমেলা

বর্ণালী সাহার ‘আম্মা ও দূরসম্পর্কের গানগুলি’

তানিম কবির, বিভাগীয় সম্পাদক শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৫
বর্ণালী সাহার ‘আম্মা ও দূরসম্পর্কের গানগুলি’ বর্ণালী সাহা

অমর একুশে  গ্রন্থমেলা ২০১৫-য় শুদ্ধস্বর থেকে প্রকাশিত হবে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী গল্পকার বর্ণালী সাহার প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘আম্মা ও দূরসম্পর্কের গানগুলি’। বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করলেও এ মাসের ১৫ তারিখে বর্ণালী অস্ট্রেলিয়া ফিরে যাবেন।



অপরদিকে, প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল জানাচ্ছেন বইটি মেলায় পেতে আরও কয়েকটা দিন অন্তত অপেক্ষা করতেই হবে। ফলে, প্রকাশিতব্য বইটিকে ‘রক্তেমাংসে’ দেখে যেতে পারবেন কি না—এ নিয়ে সংশয়ে আছেন লেখক।

ফেব্রুয়ারির ৮ম দিন, রোববার বিকেলে বইমেলা প্রাঙ্গণে প্রকাশিতব্য বই ও নিজের লেখালেখি নিয়ে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় বর্ণালী সাহার।

গল্পকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ সত্ত্বেও লেখার অনুপ্রেরণায় গল্প নয়, বরং কবিতা ও গানই বর্ণালীর প্রধান সহচর। নিজেও গান করেন, বর্তমানে ভারতের সংগীত রিসার্চ একাডেমির (এসআরএ) একজন শিক্ষার্থী হিসেবে যুক্ত তিনি—প্রধান আগ্রহ উচ্চাঙ্গরাগে।

তবে কবিতা লেখেন নি কখনও, কবিতার সঙ্গে নিজের সম্পর্ককে শর্তহীন রাখতে চান বর্ণালী—আর লিখতে চান গল্প, কেননা লেখায় ‘স্টোরি টেলিং’-কেই নিজের সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গা হিসেবে চিহ্নিত করেন তিনি।

প্রকাশিতব্য ‘আম্মা ও দূরসম্পর্কের গানগুলি’ বইটিতে ২০০৮ থেকে এ বছর পর্যন্ত সময়ে লিখিত মোট ১১টি গল্প স্থান পাচ্ছে। গল্পগুলো কী রকম, একটির সঙ্গে অন্যটির মিল / অমিলগুলো কী জানতে চাইলে বর্ণালী বলেছেন,

‘অমিলই বেশি। ’ আর জানিয়েছেন, গানের ক্যাসেটের মত বইটির গল্পগুলোকে সাইড এ এবং সাইড বি-তে বিন্যস্ত করা হয়েছে।

একজন গল্প লেখকের কী থাকা প্রয়োজন আর কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবার আগে প্রয়োজন গল্প দেখার চোখ। নারী লেখকদের লেখা অনেকক্ষেত্রেই অধিকার বঞ্চিত নারীদের হা-হুতাশের বর্ণনামাত্র হয়ে যায়—বাজারচালু এই অভিযোগ প্রসঙ্গে বর্ণালী বলেন,

‘এ ধরনের অভিযোগ হয়ত পুরুষদের পক্ষ থেকেই বেশি আসে। আমার মনে হয়, নারী বলেই তাদের মনোযোগের জায়গাটা সহজেই এভাবে চিহ্নিত হয়। উল্টোদিকে একজন পুরুষ লেখকের লেখায়ও যে তার পুরুষালী চারপাশ প্রধান হয়ে ওঠে—সে ব্যাপারে কিন্তু কোনও অভিযোগ ওঠে না। ’

একজন নারী লেখকের লেখায় নারী-অভ্যন্তরীণ বর্ণনাকে তিনি দোষের কিছু মনে করেন না। একইভাবে একজন পুরুষ লেখকের লেখায়ও পুরুষালী চারপাশ ফুটে ওঠার ঘটনাকে তিনি স্বাভাবিকভাবেই দেখেন।

কেননা বর্ণালী মনে করেন, ‘যার যা দেখার ক্ষেত্র, লেখার ক্ষেত্র হিসেবেও—সেটাই তার জন্য বেশি সুবিধাজনক। ’

প্রকাশিতব্য বইটি নিয়ে জানতে চাইলে শুদ্ধস্বর-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্ণালীর গল্প বলার উপকরণ—জন্তুর কৌতূহল, শিশুর পর্যবেক্ষণ এবং শিল্পীর চিত্রকল্প। প্রায়-সাংগীতিক শৈলী ও পরিমিতিবোধ পাওয়া যাবে বইটিতে থাকা এগারটি গল্পে।

আরিফুল ইসলামের করা প্রচ্ছদে ১৫৬ পৃষ্ঠার প্রকাশিতব্য এ বইটির কমিশন পরবর্তী মূল্য দাঁড়াবে ২৯০ টাকা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ১৭৪, ১৭৫, ১৭৬ নাম্বার ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের লিটল ম্যগাজিন চত্বরে—শুদ্ধস্বরের স্টলে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে বইটি পাওয়া যাবে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন প্রকাশক।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।