ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় আসছে এএসএফ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৬
বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় আসছে এএসএফ

দেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তায় বিশেষ বাহিনী গঠনের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

ঢাকা: দেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তায় বিশেষ বাহিনী গঠনের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। বর্তমানে এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স (এএসএফ) নামে এই বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে বলেও তিনি জানান।

গত রোববার (০৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এক যুবকের ছুরিকাঘাতে আনসার সদস্যের মৃত্যু ও ওই যুবকের বিমানবন্দরে প্রবেশের চেষ্টার ঘটনায় মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

এর আগে উদ্ভুত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বন্দরের নিরপত্তায় নিয়োজিত সব সংস্থার সঙ্গে সকাল ৯টায় শাহজালাল বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনাল চামেলি’র সম্মেলন কক্ষে জরুরি বৈঠক করেন তিনি। এতে দেশের সব গোয়েন্দা সংস্থা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি ও সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স (এএসএফ) গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। বলা যায়, বিশেষ এ বাহিনী এখনই আছে। এই বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের আর্ন্তজাতিকমানের প্রশিক্ষণের কাজ চলছে।  

এ বছরের শুরুতেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় বিশেষ বাহিনী গঠনের প্রস্তাব পায় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অনুমতির পরই যেনো বাহিনী গঠন করা যায় সেজন্য বিমানবাহিনীর একশো সদস্যের একটি দল প্রস্তুত রাখা হয়।
 
এছাড়া নতুন এ বাহিনীতে দক্ষ জনবল জোগান দেওয়ার জন্য বিমানবাহিনী এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) থেকে পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে চিঠি দেওয়া হয়।
 
ওই চিঠিতে বলা হয়, বিশেষ বাহিনীর সদস্য সংখ্যা হবে ২৫০। এর মধ্যে শতাধিক সদস্য থাকবে বিমানবাহিনীর।
 
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন সিকিউরিটি ফোর্স নামে বিশেষ বাহিনী গঠনের খবরে শাহজালাল বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দরে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ড, স্ক্যানিং মেশিন অপারেটরসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এ কারণে বিষয়টি এতোদিন গোপন রাখা হয়।  
 
এদিকে, সিভিল এভিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, এ বাহিনীর দাফতরিক কাজ ও ক্ষমতা কী হবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দরে কর্মরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন থাকার পরও এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্সের কাজ কী হবে এবং দুই বাহিনীর মধ্যে সাংঘর্ষিক অবস্থা তৈরি হবে কিনা সে দিকটিও ভেবে দেখছে বেবিচক। তবে এপিবিএনের ওপর সিভিল এভিয়েশনের নিজস্ব কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সেক্ষেত্রে প্রস্তাবিত এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স শতভাগ বেবিচকের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৬ 
আরএম/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।