ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

ফুটবলের তীর্থভূমির মনমাতানো সৌন্দর্য-১

আফসানা রীপা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৪
ফুটবলের তীর্থভূমির মনমাতানো সৌন্দর্য-১ ছবি: সংগৃহীত

ফুটবলের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় ব্রাজিলকে। ব্রাজিল এবার ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ।

ফুটবল উত্তেজনা, সঙ্গে সাম্বা- ব্রাজিলের বড় আকর্ষণ।   তবে এখানেই শেষ নয়, প্রকৃতির দিক দিয়েও ব্রাজিল অপরূপ এক দেশ। অনন্য সব রূপের সন্নিবেশে ব্রাজিল পর্যকদের কাছে সবসময় এক আকর্ষণীয় জায়গার নাম। যারা বিশ্বকাপ আসরের অংশীদার হতে এই মুহূর্তে ব্রালিলে অবস্থান করছেন তারাও ফাঁক পেলে ঘুরে আসতে পারেন এ জায়গাগুলোতে।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-এর পাঠকদের জন্য ব্রাজিলের বেশ কয়টি আকর্ষণীয় স্থান নিয়ে আমাদের এ আয়োজন। আজ থাকছে মাউন্ট রোরাইমা, ক্যানোয়া কিউব্রেডা, ইগুয়েজ ফলস, ফর্টালেজা, পেলাওরিনহোর বিবরণ।

মাউন্ট রোরাইমা



মাউন্ট রোরাইমা ব্রাজিল, গুয়েনা এবং ভেনেজুয়েলা সীমানার মাঝামাঝি অবস্থিত। এখানকার নদী, ঝর্না এবং সুসজ্জিত শীলাগঠন দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন স্যার আর্থার কোনান ডোয়াল ‘দ্য লস্ট ওয়ার্ল্ড’ নামে একটি বই লিখে ফেলেন। ডিজনি ল্যান্ডের জনপ্রিয় অ্যানিমেশন ছবি ‘আপ’- কিছু দৃশ্য দেখানো হয়েছিল যা এই মাউন্ট রোরাইমার হুবহু। এলাকাটি পুরোপুরি ভ্রমণ করতে সময় লাগবে ৭ থেকে১০ দিন। আর ওখান থেকে ফেরত আসতে লাগবে ২ দিন। ফেরার পথে ঝর্নাস্নান করে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে ভুলবেন না।

ক্যানোয়া কিউব্রেডা



সমুদ্র সৈকত এবং বালিয়ারি পাহাড়ের জন্য এলাক‍াটি বেশ জনপ্রিয়। ব্রাজিলের ফোর্টলেজা এরিয়া থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে গাড়ি চালিয়ে গেলে আড়াই ঘণ্টার মতো সময় লাগে। এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায় সবাই জেলে, তাদের মাছ ধরার নৌকার নাম- জঙ্গদা। এলাকার বিশেষত্ব হলো ভ্রমণকারীরা ৫ ডলারের বিনিময়ে আধা ঘণ্টা কাঠের তৈরি বিশেষ নৌকায় ভ্রমণ করতে পারেন।

ইগুয়েজ ফলস



প্রায় ২৭ টি ঝর্নার সমন্বয়ে একটি বৃহৎ জলধারা হলো ইগুয়েজ ফলস। জায়গাটিকে স্থানীয়রা ডেভিলস থ্রোট বা শয়তানের গলা বলে অভিহিত করে। এই জলপ্রপাতের বেশরিভাগই আর্জেন্টিনা অঞ্চলের দিকে বিস্তৃত। ব্রাজিলের ইগুয়েজ পার্কের অপার সৌন্দর্য সকলেরই নজর কাড়বে।

ফর্টালেজা



ব্রাজিলের উত্তর-পূর্ব উপকূলে ছিয়ারা রাজ্যের রাজধানী ফর্টালেজা। গলদা চিংড়ি এবং সামুদ্রিক খাবারের জন্য জায়গাটি বেশ জনপ্রিয়। এখানকার সৈকতগুলো নৌকা ভ্রমণের জন্য বেশ উপযোগী।

পেলাওরিনহো



বাহিয়া রাজ্যের স্যালভাডোরের অন্তর্ভুক্ত একটি ছোট্ট শহর পেলাওরিনহো। এটি একটি ঐতিহাসিক জায়গা। শহরের সুন্দর রঙবেরঙের বাড়িঘড় এবং প্লেস্তারের আস্তরণ দেয়া অদ্ভূত সুন্দর রাস্তাগুলো সবারই নজর কাড়বে। এই কলোনির মানুষজন আফ্রিকান এবং ইউরোপীয়ান সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী।

প্রিয় পাঠক, ভ্রমণ যাদের নেশা, বেড়ানোর সুযোগ এলে যারা উড়িয়ে দেন সব বাধা, কাজের অংশ হিসেবে যারা ভ্রমণ করেন কিংবা যাদের কালেভদ্রে সুযোগ হয় ভ্রমণের তারা সবাই হতে পারেন ট্রাভেলার্স নোটবুক’র লেখক। আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন বাংলানিউজের পাঠকদের সঙ্গে।

আর একটা কথা লেখার সঙ্গে ছবি পাঠাতে ভুলবেনই না, সেই সঙ্গে বাতলে দিন সেখানে যাওয়ার পথঘাটের বিবরণও।

প্রিয় পাঠক, আপনার ভ্রমণ আনন্দ বিশ্বজুড়ে বাঙালির কাছে ছড়িয়ে দিতে আমাদের ই-মেইল করুন- [email protected] এই ঠিকানায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।