ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

‘চিরবন্ধু আরিফ ও অর্জুন’: স্মরণ-বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২৪
‘চিরবন্ধু আরিফ ও অর্জুন’: স্মরণ-বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত

রাজধানীর ইস্কাটনে গত বছরের ০৭ নভেম্বর এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত (কাঠামোগত হত্যাকাণ্ডের শিকার) হন আরিফুল ইসলাম (আরিফ) ও সৌভিক করিম (অর্জুন)। তাদের দুজনের বয়স সদ্য ৪০ পেরিয়েছিল।

 

নিজ নিজ জায়গা থেকে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন-প্রত্যাশী এ দুই তরুণ ছিলেন শূন্য দশকের সম্ভাবনাময় তারুণ্যের প্রতিনিধি। তাদের অকাল-প্রয়াণ নিঃসন্দেহে দেশ ও সমাজের জন্য অপূরণীয় ক্ষতির কারণ।  

তবে তাদের জীবন ও কর্মগুলো থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তাদের সহযোদ্ধা-বন্ধু-স্বজনেরা নিশ্চয়ই সাম্প্রতিক গণ-অভ্যুত্থানের পর সৃষ্টি হওয়া নতুন সম্ভাবনাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে গুরুত্ববহ ভূমিকা রাখতে পারেন।  

শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার কক্ষে ‘চিরবন্ধু আরিফ ও অর্জুন’: স্মরণ ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ছাত্রজীবনে আরিফুল ইসলাম (আরিফ) বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে এবং সৌভিক করিম (অর্জুন) একই সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাসহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।  

এরপর আরিফ গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম নেতা ছিলেন। পেশাজীবনে আরিফ সৃজনশীল প্রকাশনা শিল্পে নিয়োজিত ছিলেন। অর্জুন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি ভিন্নধর্মী সংগীত চর্চা ও গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন।  

অনুষ্ঠানে আরিফ ও অর্জুনের তরুণ বয়সের লেখালেখির একটি সংকলনের মোড়ক উন্মোচন করেন নৃতাত্ত্বিক রেহনুমা আহমেদ, ফটোগ্রাফার শহীদুল আলম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল ও আরিফ ও অর্জুনের পরিবারের সদস্যরা।  

এ দুজনের জীবন ও কর্ম নিয়ে বিশেষ বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার এবং সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গণের সংগঠক ও শিল্পী বীথি ঘোষ। সংগীত পরিবেশন করেন আরিফ-অর্জুনের বন্ধু শিল্পী শায়ান, প্রবর রিপন, মুয়িজ মাফফুজ ও শরিফুল ইসলাম।  

তাসলিমা আখতার বলেন- আরিফ ও অর্জুনের অকাল প্রয়াণ তাদেরসহযোদ্ধাদের ব্যথিত করার পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশের অমিত সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার লড়াইয়ে শামিল হওয়ার প্রেরণা যোগাবে।  

অকালে হারানো এ দুই প্রাণ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের ব্যর্থতাগুলোকে নতুন করে সবার সামনে নিয়ে এসেছে উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি আগামীতে প্রকৃতপক্ষেই সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এমন একটি রাষ্ট্র গঠনের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রামের আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২৪
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।