ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

বর্ণাঢ্য আয়োজনে শেষ হলো আঞ্চলিক আর্ট ও চলচ্চিত্র উৎসব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
বর্ণাঢ্য আয়োজনে শেষ হলো আঞ্চলিক আর্ট ও চলচ্চিত্র উৎসব

ঢাকা: ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া শিল্পীদের বর্ণাঢ্য ফ্যাশন শো ও একসঙ্গে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ের মাধ্যমে শেষ হয়েছে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক আর্ট ও চলচ্চিত্র উৎসব রিইনকার্নেট-৩।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহীম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়  উৎসবের সমাপনী।

অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বন্ধু সোশ্যাল ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি (বন্ধু)।

সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইউউ) রাষ্ট্রদূত ও ডেলিগেশন প্রধান চার্লস্ হোয়াইটলে, ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রদীপ্তা রায় এবং নেপালের মানবাধিকারকর্মী শেরচান নবিন সিমরান।

অনুষ্ঠানে তারা বলেন, ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি যে বৈষম্য ও নিপীড়ন হয় তা তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম হলো শিল্প, সাহিত্য ও চলচ্চিত্র। এই মাধ্যমই তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে জোরালো আওয়াজ তোলা সম্ভব।

তাই আরও বেশি চলচ্চিত্র নির্মাণ, শিল্প ও সাহিত্য রচনার প্রতি জোর দেন তারা। এই রকম আয়োজনের জন্য ‘বন্ধু’র প্রসংশা করে তারা বলেন, এ ধরনের উৎসব আয়োজন ও সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার।

টেইসই উন্নয়ন অভীষ্টের অন্যতম শর্ত- কেউ পিছিয়ে থাকবে না। এ স্লোগানকে সামনে দেশকে এগিয়ে নিতে পিছুপা হবে না  ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠী। শিক্ষা, শিল্প, কর্মে যোগ্য হয়ে এগিয়ে যাবে তারা। তবে, তার জন্য চাই সামাজিক সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। এই বিষয়গুলোই ফ্যাশন শোর মাধ্যমে উপস্থান করেছেন মডেল, অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ।

এর আগে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বন্ধু সোশ্যাল ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি (বন্ধু) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এ উৎসব উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।

আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো শৈল্পিক মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবন সংগ্রাম তুলে ধরে সামাজিক সচেতনতা ও গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করা। পাশাপাশি এই জনগোষ্ঠীকে সৃজনশীল চর্চায় সম্পৃক্ত রাখা এবং মত প্রকাশের জন্য একটি  নিরাপদ অবস্থান তৈরি করা।

এবারের উৎসবে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ৬টি দেশের ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠী নিয়ে নির্মিত ২৫টি চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। পাশাপাশি ২৫টি শিল্পকর্মের একটি তিন দিনের চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এর সঙ্গে প্রতিদিন ছিলোট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া শিল্পীদের অংশগ্রহণে নানা আয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
জেডএ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।