ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

কৃষিকাজে বাড়ির নারীরাই ভরসা!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭
কৃষিকাজে বাড়ির নারীরাই ভরসা! পরিবারের নারী সদস্যরাই নিজেদের জমির আখ কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ছবি: বাংলানিউজ

রংপুর: গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিশেষ করে কৃষিক্ষেত্রে শ্রমজীবী নারীর অবদান অনস্বীকার্য। তাদের শ্রমও কাজে লাগছে নানাভাবে। বর্তমানে কৃষিশ্রমিকের সংকট দেখা দেওয়ায় তাদের সঙ্গে যদি যুক্ত হচ্ছেন চাষিবাড়ির নারী সদস্য বোন, ভাবি, ননদেরাও!  

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সরেজমিনে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর পদাগঞ্জে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষিশ্রমিকের অপ্রতুলতায় একটি পরিবারের নারী সদস্যরাই নিজেদের জমির আখ কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কর্মরত রহিমা বেগম (২২) বলেন, ‘আমাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যরা কেউ ব্যবসা করেন, কেউবা ঢাকায় থাকেন।

তারা তেমন সময় দিতে পারেন না। আখ কাটতে হবে তো! অনেক ঘোরাঘুরি করেও কামলা (কৃষিশ্রমিক) পাইনি। তাই নিজের কাজ পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে নিজেরাই করছি’।

‘নিজেদের জমিতে আখ কাটার দৃশ্য দেখে পাড়ার কয়েকজন শুভাকাঙ্খী স্বেচ্ছাশ্রমে আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন, যা আমাকে মুগ্ধ করেছে’।

ডিগ্রির শিক্ষার্থী আমেনা বেগম (১৮) বলেন, ‘এখন আর গ্রামেও মজুর (কৃষিশ্রমিক) পাওয়া যায় না। তারা বর্তমানে রিকশা চালান কিংবা ইটভাটা বা ঢাকায় গিয়ে কাজ করছেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও যখন শ্রমিক পেলাম না, তখন বাড়িতে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, নিজেদের দুই বিঘা (৫৬ শতাংশ) জমির আখ নিজেরাই কেটে নেবো’।

‘এভাবেই শুরু। আজ জমির ফসল কাটা শেষ হবে’।

বদরগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) কনক রায় বলেন, কৃষিশ্রমিক না পেয়েই কৃষিক্ষেত্রে এগিয়ে আসছেন নারীরাও।

উপজেলার গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজার রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, এখন আর গ্রামগঞ্জে কামলা পাওয়া খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার। অদূর ভবিষ্যতে নিজের জমির ফসল হয়তো বা নিজেকেই কাটতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।