ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

কুলের চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে ৩ গুণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০১ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৩
কুলের চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে ৩ গুণ

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে পাইকারি ফল বাজারে কুল কিনতে ভিড় করছেন ব্যাপারী ও পাইকাররা। বিক্রি বেড়ে গেছে।

চাহিদার সঙ্গে দামও বেড়েছে তিনগুণ।  

উপজেলার সৈয়দপুর পাঁচমাথা মোড় সংলগ্ন ফল বাজারে দেখা যায়, দেদারছে বিক্রি হচ্ছে নানা জাতের কুল। দূর-দূরান্ত থেকে এখানে ফল ব্যাপারীরা ও পাইকাররা এসে সংগ্রহ করছেন কুল। পরে তা পিকআপভ্যান, ট্রাকে লোড করা হচ্ছে। মৌসুমের প্রায় শেষের দিকে কেচা-বেচা জমে ওঠায় ও দাম ভালো পাওয়ায় বাগান মালিক ও কুল চাষিরা খুশি।

কুল বরই বাজারে কথা হয় দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা থেকে আসা সাইদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বরইয়ের দাম এখন বাড়তি। গত ফেব্রুয়ারিতে যে কুল ১ হাজার টাকা মণ দরে কিনেছি তা এখন ৩২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এখনও চাহিদা থাকায় ভালোই বিক্রি হচ্ছে। ফল বাজারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ফলের সমাহার রয়েছে। তবে সেখানে কুল বিক্রিটা বেশি হচ্ছে।

ফল বাজারে কথা হয় ফলের কয়েকজন পাইকারের সঙ্গে। তারা জানান, পাশের তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ, পার্বতীপুর, চিরিরবন্দর, খানসামা, নীলফামারী সদর থেকে আসা কুলের বাগান মালিকরা সরাসরি সৈয়দপুরের বাজারে কুলি নিয়ে আসছেন। ব্যবসায়ীরা তা সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন হাট-বাজারে। খুচরা ব্যবসায়ীরাও প্রচুর কুল সংগ্রহ করছেন। আড়তে শোভা পাচ্ছে বল সুন্দর, আপেল কুল, কাশ্মিরী কুল, নারিকেল কুলসহ দেশি জাতের বিভিন্ন বরই কুল।  

বিক্রেতারা জানালেন, বাজারে কাশ্মিরী কুলের দাম অনেক বেশি। চাহিদার কারণে দামটাও বেশি। প্রতিমণ বিক্রি ৪ হাজার থেকে ৪২শ’ টাকায়। বল সুন্দরী বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকা মণ দরে। আপেল কুলের দাম ৩২শ’ টাকা। নারিকেল কুলের মণ ২৮শ’ টাকা।

তবে বাউকুলের দাম কিছুটা কম। প্রতিমণ ১১শ’ থেকে ১২শ’ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ফেব্রুয়ারি গোড়ার দিকে ৮০০ থেকে ১২শ’ টাকা মণ দরে যে কুল বিক্রি হয়েছে, এ মাসে বেড়ে প্রায় তিনগুণ বেশি।

কুলের দাম বাড়তি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ফলের আড়তদার মাসুদ রানা বলেন, বাজারে কুলের চাহিদা প্রচুর। ক্রেতারা দেশি খেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। তাই চাহিদার কারণে দামও বাড়তির দিকে।  

এছাড়া এসব কুলের মৌসুমের শেষ দিকে। বাজারে সারিসরি পিকআপভ্যান ও ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। যাতে কুল তোলা হচ্ছে। কেবল আশেপাশের জেলা নয়, প্রতিদিন প্রায় ২০ ট্রাক কুল এই বাজার থেকে ঢাকায় যাচ্ছে।

সৈয়দপুর উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মমতা সাহা বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, প্রতিদিন সৈয়দপুরের বাজার থেকে ট্রাকে ট্রাকে বরই বাইরে পাঠানো হচ্ছে। এই জনপদের মাটি বরই চাষে উপযোগী হওয়ায় কৃষরা বরই চাষে ঝুঁকেছেন। প্রতিদিন সৈয়দপুরের বাজারে ২-৩ কোটি টাকার কুল বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।